আনারসের ১৫ টি উপকারিতা সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন

 আনারস 

 (pineapple) আনারসের বৈজ্ঞানিক নাম  ‍Ananas comosus বিশ্বের বিভিন্ন দেশে  অনারসের চাষাবাদ হয়ে থাকে । দক্ষিন আমেরিকা ,কোস্টরিকা,ব্রাজিল ফিলিপাইন  বিশ্বের  এক তৃতীয়াংশ অনারস উৎপাদন করে । আনারস ২০০ টি পর্যন্ত ফুল উৎপাদন করে থাকে । ১২ -২০ মাস  পর আনারসে কান্ড ১৫ সেমি ৬  ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে । বাংলাদেশের ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, ভালুকা  , মধুপুর জামালপুর ,ফুলবারিয়াতে আনারসের চাষ হয় । বাংলাদেশের বৃহত্তম বনাঞ্চল শালবন এলাকায়  প্রচুর পরিমানে অনারসের চাষাবাদ হয় ।

                                               

আনারসের  উপকারিতা


অনারসের  পুষ্টিগুন:

আনারস একটি মিষ্টি সু্স্বাদু রসালো ফল । আনারসে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে । আনারসে রয়েছে  ভিটামিন ,,এ ,,,ভিটামিন,, সি,, পটাসিয়াম ফসফরাস । এছাড়াও আনারসে রয়েছে ব্রোমোলিন নামক এনজাইম হজমশক্তিতে আরও  সহায়তা করে । প্রতি ১০০ গ্রাম আনারসে পাওয়া যায় ৫০ কিলোক্যালরি শক্তি  পাওয়া যায় । ১০০ গ্রাম আনারসে  ১৩.১২ গ্রাম শর্করা ,০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি ,,আশ ১.৪ গ্রাম থাকে । ১.২ গ্রাম লৈাহ রয়েছে ।
                                            
                                                             আনারসের  উপকারিতা





আনারসের ১৫ টি উপকারিতা:

১। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে:


আনারস হজমশক্তিতে খুবই উপকার করে । আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন নামক উপাদান  তাই হজমশক্তিকে খুবই উন্নত করে  । তাই যাদের বদহজম আছে  তারা আনারস খেতে পারেন ।


২। রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে:


দেহের রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে । দেহের রক্ত জমাট বাধতে বাধা দেয় । রক্ত পরিষ্কার করে  হৃৎপিন্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে । হৃৎপিন্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেন যুক্ত সরবরাহ করে ।


৩। দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখে :


আনারসে প্রচুর পরিমানে   ভিটামিন,, সি, ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ।   তাই দাঁত ও মাড়ি  রাখে শক্ত ও মজবুত । দাঁত ও মাড়িজনিত সমস্যা থাকলে নিয়মিত আনারস খেতে পারেন ।



৬। ওজন কমাতে সাহায্য করে :


আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার  কম ফ্যাট ও চর্বিমুক্ত উপাদান  । শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রন করার জন্যে অনারস খুবই গুরুত্বর্পু  । শরীরের চর্বির পরিমান বেশি থাকলে  প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অনারসের সালাদ খেলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায় ।

৭। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে :

আনারসের  যৌগগুলি অক্সিডেভিড স্টেস কমাতে সহায়তা করে । যার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ক্যান্সারের ঝুকি কমায় ।


  ৮ । কৃমি দুর করে :

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খলিপেটে আনারস  পেটের খেলে কৃমি দুর করে । অনারসের রস কৃমিনাশক ঔষধ হিসেবে কাজ করে । যাদের কৃমিজনিত সমস্যা আছে তারা খালিপেটে আনারসের রস খেলে ভালো ফলাফল পাবেন ।

৯। চোখের সুরক্ষা করে :

প্রতিদিন আনারস খেলে চোখের  রেটিনা নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে । আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডশন হওয়া থেকে রক্ষা করে । অনারসে রয়েছে বেটা ক্যারেটিন  তাই চোখের রেটিনা নষ্ট হওয়া থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত রক্ষা করে ।



১০ । ত্বক ভালো রাখে :


আনারসের রসে রয়েছে প্রচুর  ভিটামিন,,, সি,, ও ক্যালোরি  ত্বককে ভালো রাখে ।আনারসের আছে প্রোটিন যা  ত্বকের মৃত কোষকে দুর করে । ত্বকের কলোভাব দুর করে  ফর্সা ও উজ্জল করে । 


১১।সৈন্দয্য বৃদ্ধি করে :


আনারসে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি  ও  প্রোটিন ত্বকের কলোভাব দুর করে ত্বকের সৈন্দয্য বৃদ্ধি করে ।
আনারসের রস ত্বককে উজ্জল করে ।  ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দুর করে  মুখের ব্রণ কমাতে সহায়তা করে  ।
                                                         

১২।  শরীরের ক্ষতস্থান পুরন করে:


আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যলসিয়াম ও ম্যঙ্গানিজ । দেহের আঘাতজনিত ক্ষতস্থান পুরন করার জন্য বেশ উপকারী ।

১৩। জ্বর ও জন্ডিস থেকে সুরক্ষা রাখে:


আনারসে রয়ছে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি মানবদেহে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে । জ্বর ও জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী  । গলাব্যথা সাইনোসাইটিস জাতীয়  রোগ থেকে সুরক্ষা রাখে ।


 ১৪ । রক্ত পরিষ্কার করে:


অনারসে থাকা ভিটিামিন সি পটাসিয়াম ম্যগনেসিয়াম রক্ত পরিষ্কার করে । রক্তজনিত সমস্যা থাকলে প্রতিদিনের  খাবার তালিকায় আনারসের সালাদ রাখুন ।


১৫। কষ্ঠ্যকঠিন্য দুর করে:


 আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও ফাইবার ।  অনারসের রস দেহের  কষ্ঠ্যকঠিন্য দুর করার জন্য বেশ উপকারী । অনারস ক্ষুধাবর্ধক হিসেবে কাজ করে । কষ্ঠ্যকঠিন্য দুর করার জন্য আনারস খেতে পারেন ।







আনারস হলো খুবই উপকারী ফল । অনারস দেহের শক্তি যোগায় । অনারসে থাকা উপাদানগুলো মানবদেহে বেশ ভুমিকা পালন করে । তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অনারস খান । শরীরকে সুস্থ্য সুন্দর ও মজবুত রাখার জন্য আনারসের তুলনা হয়না ।







                                                             



Post a Comment

Previous Post Next Post