মধু তে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি ও ভিটামিন রয়েছে মধু শরীরের বিভিন্ন রোগ বালাই দুর করে । মধুকে প্রাকৃতিক ঔষধও বলা হয় । বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে মধু সংগ্রহ করা হয় । প্রায় সব বয়সের মানুষ মধু খেয়ে থাকে । মধুকে চিনির বিকল্প হিসেবে বাজারজাত করা হয় ।
মধুর পুষ্টি ও উপাদান
মধুতে মোট ৪৫ টি খাদ্য উপাদান রয়েছে ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ ১১ শতাংশ এনকাইম রয়েছে । ০.৫-৩.০ শতাংশ সুক্রজ রয়েছে । এছাড়াও রয়েছে ৫-১২ শতাংশ মন্টোজ । ফুলের পরাগের মধুতে ২৫-৩৭ শতাংশ গ্লোকোজ রয়েছে । মধুতে চর্বি ও প্রোটিন নেই ।
মধু খাওয়ার উপকারিতা
১। হজমে সাহায্য করে
মধুতে ডেক্সট্রিন থাকার কারণে হজমে সহায়তা করে । তাই হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত মধু খান ।
২ । রক্ত স্বল্পতা দুর করে
মধুতে প্রচুর পরিমানে কপার ,লৌহ ,ম্যাংগানিজ রয়েছে । তাই শরীরের রক্তস্বল্পতা দুর করতে সহায়তা করে ।
৩ । চোখ ভালো রাখে
মধুতে ভিটামিনে,,,এ,, থাকার কারনে চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে । গাজরের রস বের করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে চোখ ভালো রাখে। চোখের রেটিনা পরিষ্কার করে ।
৪। রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়তা করে
এক গ্লাস গরম পানির সাথে ২ চামচ মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়তা করে ।
৫ । হাড় গঠন করে
মধুতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকার কারনে হাড় গঠন করে । দেহের হাড় শক্ত ও মজবুত করে । হাড়জনিত সমস্যা থাকলে মধু খাওয়া উচিত
৬ । শারীরিক দুর্বলতা দুর করে
মধুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও পুষ্টি এছাড়াও রয়েছে আয়রন যা শারীরিক দুর্বলতা দুর করে । শরীরকে শক্তিশালি করে তোলে ।
৭ । ব্যথা দুর করে
দারুচিনির গুড়োর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত ব্যাথা দুর হয় । এক গ্লাস গরম পানির সাথে দুই চামচ মধু ও এক চামচ দারুচিনির গুড়ো মিশিয়ে খেলে রাতের ব্যাথাও কমে যায় । যাদের ব্যাথাজনিত সমস্যা রয়েছে তারা এভাবে নিয়মঅনুযায়ী মধু খান ।
৮। মুখের ব্রণ ভালো করে
মধুতে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান যা ত্বকের ব্রণ দুর করতে সহায়তা করে । যাদের ব্রণজনিত সমস্যা রয়েছে তারা মধু ব্যবহার করতে পারেন ।
৯। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
মধুতে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । শরীরকে জবিাণুর আক্রমন থেকে রক্ষা করে ।
১০ । নতুন রক্ত তৈরী করে
মধুতে প্রচুর আয়রন থাকার কারনে নতুন রক্ত তৈরী করতে সাহায্য করে । রক্তজনিত সমস্যা থাকলে মধু খেতে পারেন।